চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের সময় আটকের ভয়ে পালানোর সময় জাকারিয়া হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৩ টায় সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। 

জাকারিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি গাংনী গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হাই মাওলানার ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুই বোতল ফেনসিসিলসহ মাসুরা খাতুন (৪০) নামে এক নারী ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসি। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে করে জাকারিয়াসহ তিনজন আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার গেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন তাদের গতিরোধ করে। এর মধ্যে একজনকে ধরে তার মোবাইল কেড়ে নিলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা জাকারিয়া পালিয়ে রায়পাড়ার নজরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পানি চায়। পানি দেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাকারিয়া টাকা আদায়ের জন্য আকন্দবাড়িয়া গিয়েছিল। এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অভিযান দেখে ভয়ে পালানোর সময় স্টোক করে তার মৃত্যু হয়। সে আগে থেকে হার্টের রোগী ছিল।

জাকারিয়ার ভাগ্নে শরিফুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মামা বাড়ি থেকে বের হয়। শুনেছি চুয়াডাঙ্গার দুজনের সঙ্গে আকন্দবাড়িয়া গ্রামে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে টাকা আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। 

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন অভিযান চালিয়ে দুই বোতল ফেনসিডিলসহ এক নারীকে আটক করে। এই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে জাকারিয়াসহ তিনজন যাচ্ছিল। তাদের আটক করতে পারে ভেবে পালানোর সময় জাকারিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের কেউ তাড়া করেনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার দুপুরে মাদকসহ এক নারী ব্যবসায়ীকে আটক করি। এছাড়া আমরা আর কাউকে আটক বা তাড়া করেনি। হয়তো অভিযানের সময় আমাদের দেখে ভয় পেয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

আফজালুল হক/এসপি