নতুন করে নির্মিত হওয়ায় পুরাতন ব্রিজের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে স্থানীয়রা সোমবার (২৩ মে) দুপুরে চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান।

ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ।

জানা গেছে, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে নয়াখালের সেতু ও আলমগীর হাওলাদারের বাড়ির সামনে খালের দুটি আয়রণ সেতু পুরোনো হওয়ায় ভেঙে যায়। ২০২১ সালে নতুন করে সেতু দুটি নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি। পুরোনো সেতু দুটি ভেঙে লোহার দেড় টন মালামাল ইউপি চেয়ারম্যানের ছিলারিশ গ্রামের বাড়িতে হেফাজতে রাখা হয়। 

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান ওই মালামাল গোপনে নলছিটি শহরের ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. মুনছুরের কাছে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। মুনছুর ট্রাকে করে দুপুরে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে লোহার মালামাল নিয়ে পোনাবালিয়া খেয়াঘাটে আসলে স্থানীয় জনতা ট্রাকটিকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ট্রাকের মালামাল জব্দ করে।

ব্যবসায়ী মুনছুর বলেন, পোনাবালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায় লোহার মালামাল বিক্রি করেন। আমি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোজন ও পুলিশ এসে ট্রাক আটক করে।

ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নান্না খলিফা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান পুরোনো সেতুর লোহার মালামাল তার বাড়িতে রাখে অবৈধভাবে। কোনো রেজুলেশন ছাড়াই তিনি বাড়িতে এ মালামাল রাখেন। কাউকে না জানিয়ে গোপনে দেড় টন লোহার মালামাল বিক্রি করে দেন। আমি তার বিচার চাই।  

গ্রাম পুলিশ মিন্টু হাওলাদার বলেন, মালামালগুলো চেয়ারম্যানের বাড়িতে ছিল। কীভাবে এগুলো বাইরে আসল, তা আমার জানা নেই।

পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার খান বলেন, আমার কাছে কোনো সেতুর মালামাল নেই। আমি এগুলো বিক্রিও করিনি। একটি চক্র আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।

ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন বলেন, আমরা জানতে পারি সরকারি সেতুর লোহার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সত্যতা যাচাই করার জন্য এসে ট্রাকটি আটক করেছি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই