তুষার ও বাশার

দীর্ঘ ১৯ বছর পর মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে আবু বক্কর সিদ্দিক খান তুষারকে সভাপতি ও মো. আবুল বাশারকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ বছর মেয়াদি এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
   
সোমবার (২৩ মে) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ এবং সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার বিষয়টিও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাজা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে শাহ্ লিয়াকত আলী ভান্ডারীকে সভাপতি এবং হাবিবুর রহমান সেন্টুকে সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ঠ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন হয়। তারপর থেকে জেলার রাজনীতিকে বেগবান ও সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করার জন্য জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দরা কাজ করে আসছেন।

সম্প্রতি আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। এমন খবর জেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের নজরে আসে। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে লবিং করতে শুরু করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাধিক নেতা।

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর পর মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দিল কেন্দ্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ইতোমধ্যে নতুন এই কমিটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার জানান, বিগত কমিটির ন্যায় নতুন কমিটিও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মূলনীতি (সেবা-শান্তি-প্রগতি) বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শত্তিশালী করার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রলীগ করে আসা সক্রিয় অনেক নেতাকর্মীরা স্থান পাবে। এতে জেলার রাজনীতি আরও বেশি প্রাণবন্ত এবং দল সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবসময় জেলার মেহনতি মানুষের কল্যাণে এবং কেন্দ্রী কমিটির নির্দশনা মেনে চলবে বলেও জানান তিনি।

সোহেল হোসেন/আরআই