পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শত শত খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ মে) দুপুরে এসব স্যালাইন ফেলে দেওয়ার পর তা স্থানীয় সাধারণ মানুষ কুড়িয়ে নিয়ে যায়।

দুমকী এলাকার বাসিন্দা মোসলেম মিয়া বলেন, ডাস্টবিনে অনেক স্যালাইন পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে ১০০ স্যালাইন বাড়িতে নিয়ে গেছি। মেয়াদ দেখলাম ২০২৫ সাল পর্যন্ত রয়েছে। এ জন্য একটু বেশি নিয়েছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজান স্যালাইনগুলো বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দেখে ফেলায় তিনি ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন। এসব স্যালাইনের মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। আর স্যালাইনগুলোর মেয়াদ থাকায় স্থানীয়রা যে যার মতো তা কুড়িয়ে নিয়ে যান।

তবে অভিযুক্ত আয়শা মারজান দাবি করেন, তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তাকে ফাঁসাতে এ কাণ্ড ঘটাতে পারে বলেও তিনি জানান।

দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল শাহিন জানান, ইতোমধ্যে স্যালাইনের বিষয়ে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে। এসব স্যালাইন কীভাবে ডাস্টবিনে গেল সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. কবির হাসান বলেন, আমি এ বিষয়টি এখনো জানি না, তবে এ বিষয়ে এখনই খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শুষ্ক মওসুমে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। সেই সময়গুলোতে ডায়রিয়া পুস করা স্যালাইন এবং খাবার স্যালাইন এর সংকট দেখা দেয়।

আরআই