সাভারের আশুলিয়ায় অনলাইনে ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে একটি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত স্বাধীন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মাদারীপুর সদর থানার পাঁচখোলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ইলিয়াস মৃধা (৩৬)। তিনি প্রতিষ্ঠািটির স্বত্বাধিকারী। অন্যজন হলেন ঝালকাঠি সদর থানার দক্ষিণ মানকশা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ডিলার ছিলেন। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান নামে আরও একজন পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, চক্রটি জামগড়াসহ আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তারা নানা লোভ দেখিয়ে আমাদের মতো সহজ-সরল মানুষদের ওষুধ বিক্রির জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে বলেন। এজন্য অনলাইনে দেড় হাজার থেকে লাখ টাকার একেকটি আইডি খুলে দিত চক্রটি। যেখানে লাভের টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের টাকা জমা হয়নি।

ভুক্তভোগী সাজু মিয়া বলেন, আমি কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। তারা বলেছিল, অনলাইনে তারা ওষুধ বিক্রি করেন। তাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। একটি আইডি নম্বরও খুলে দেন তারা। লাভের একটি অংশ প্রতিদিন আমার আইডিতে জমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন পার হলেও কোনো টাকা জমা হয়নি। নগদ টাকা ফিরে চাইলেও তারা তালবাহানা শুরু করেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তারা অনলাইন সাইট খুলে প্রতারণা করছে। আমার মতো ৬০০ ভুক্তভোগী তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান নামে আরও একজন পলাতক রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২৪ জন ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০০ জন বিনিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে চক্রটি। প্রাথমিকভাবে এটি প্রতারক চক্র বলে জানা গেছে।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি