সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আদর্শিকভাবে সমমনা। নজরুল লেখার মাধ্যমে সর্বভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন করেছেন সারাজীবন।

অন্যদিকে বৃটিশরা যখন ধর্মের ভিত্তিতে পাক-ভারত বিভক্ত করে, এরপর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান বাঙালিদের শোষণ করে আসছিল। সেই শোষণ ও অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে দেশ স্বাধীন করার নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। 

বুধবার (২৫ মে) বিকেলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কবির বাল্য স্মৃতি বিজড়িত দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতার পরপরই নজরুলকে দেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বঙ্গবন্ধু। এই উপমহাদেশের আর কোনো নেতাই নজরুলকে এত সম্মান করেননি। নজরুল ছিলেন আমাদের চেতনা, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। বাঙালির সাহিত্যজুড়ে নজরুলের যে বিচরণ তা আগামী ১শ বছরেও কেউ ছুঁতে পারবে না। 

জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, জেলা পরিষদের প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে নজরুল স্মারক বক্তা ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান। 

আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি নজরুল বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের প্রকাশিত নজরুল স্বরণিকা 'অনুভবে নজরুল' এর মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠে চলছে জমজমাট নজরুল মেলা। 

উবায়দুল হক/আরআই