গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নিবন্ধন না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধনে হাসপাতাল পরিচালনা করায় ৩টি হাসপাতালকে জরিমানা ও দুটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৭ মে) বেলা ১২টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় ৩টি হাসপাতালে অভিযান শেষে এ আদেশ দেন আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। এ সময় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভুষণ দাস উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ মোতাবেক শ্রীপুর উপজেলার হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাওনা পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও আনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোয়ালিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ থাকায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভুষণ দাস বলেন, গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিত্রে শুক্রবার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা পপুলার মেডিকেল সেন্টার, আনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কোয়ালিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। 

এ সময় মাওনা পপুলার মেডিকেল সেন্টার, আনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধন সনদ দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া কোয়ালিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধনে হাসপাতাল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও আনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধন সনদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা ও কোয়ালিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ থাকায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভুষণ দাস আরও বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি হাসপাতালের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেসব হাসপাতাল সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালনা করছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ ছাড়া রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য নেওয়া হচ্ছে কি না তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

শিহাব খান/আরআই