রংপুরের বদরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী চনচলা রানীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিষ্ণু চন্দ্রের পরিবার। এ ঘটনায় শনিবার (২৮ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিষ্ণু চন্দ্র আটক হন।

বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান।

নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘরে চনচলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তার শ্বশুর। পরে শ্বশুর ও দেবর মিলে তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিষ্ণু চন্দ্র ঘটনাটি জানতে পারেন। তিনজনে মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই চনচলা রানীর মৃত্যু হয়।

চনচলা রানী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তার স্বামী বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা দাবি করেছেন।

এদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আই এফ এম সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, মৃত অবস্থায় চনচলা রানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী ও অন্যরা। তার গলায় চোটের আঘাত ও ক্ষত চিন্হ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চনচলা রানী নিজে থেকে হত্যার চেষ্টা করেননি। বিষয়টি স্পষ্ট হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী বিষ্ণু চন্দ্রের দাবি চনচলা রানী নিজেই গলা কেটেছেন। আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিষ্ণু চন্দ্রকে আটক করেছি। ঘটনাটি নিবিড় তদন্তে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের লোকজন খোঁজখবর নিচ্ছেন। এরপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই