ফরিদপুরে প্রায় ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪২ কেজি ওজনের রূপা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। এ ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ। 

এর আগে শুক্রবার (২৭ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের গোয়ালচামট লাহেরী পাড়া এলাকার কাজী আসাদুজ্জামানের বাড়ি থেকে এই রূপা উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন কাজী আসাদুজ্জামান (৪০) ও তার সহযোগী একই এলাকার মো. সানি খান (২৮)। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দুই ব্যক্তিসহ ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করা করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আযোজন করা হয়। শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার পলাশ (২৫), ইউনুস (৩১) ও সাইমুন (২৫) পালিয়ে যান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো. ইমদাদ হুসাইন জানান, গ্রেপ্তার আসাদুজ্জামান পুলিশকে জানান, এ মামলার পলাতক আসামি ডালিম (৪০) ভারত থেকে চোরাচালানি করে রূপার এসব অলংকার বাংলাদেশে আনেন। পরে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। তবে ডালিমের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত ৭-৮ বছর ধরে এ চক্র ভারত থেকে চোরাচালানির মাধ্যমে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রূপা দেশে এনে বিক্রি করে আসছে। আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে এর আগে ঢাকার দোহার থানায় এ জাতীয় আরেকটি মামলা রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যক্তির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জহির হোসেন/আরআই