ভোলার দৌলতখান উপজেলায় হঠাৎ ঝড়ে মাদরাসার ছাত্রাবাসসহ ৫টি বসতঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। এতে মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুরে ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়ন ও ভোলার উপশহর বাংলাবাজার এলাকায় এ ঝড় হয়।

জানা যায়, বাংলাবাজার এলাকার জামেয়া গাফরিয়া আসরাফুল উলুম মাদরাসার ছাত্রাবাসসহ একই এলাকায় গাছ পড়ে পাঁচটি বসতঘর দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক সংযোগ।

তবে প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজখবর নেননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জামেয়া গাফরিয়া আসরাফুল উলুম মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম ও মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাচালীন হঠাৎ ঝড়ে মাদরাসার ক্লাস রুম, ছাত্রাবাস ও লাইব্রেরিসহ ৪টি ঘর দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় আমরা মাদরাসায় ৮০ থেকে ৯০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পাশের মসজিদে নিয়ে যাই। এ সময় মাদরাসার প্রায় পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় খোকন মুন্সি বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রদের চিৎকারে আমরা এগিয়ে এসে ভাঙা মাদ্রাসার ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করি। ঝড়ে মাদরাসার চারটি টিনের ঘর দুমড়েমুচড়ে যায়।

গাছ পড়ে বসতঘর দুমড়েমুচড়ে যাওয়ায় একই ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী বলেন, বিলের থেকে কয়ডা মুগডাল তুলে ঘরে বইসা পরিষ্কার করতেছিলাম। হঠাৎ কালো মেঘ কইরা চারপাশ আন্দার হইয়া গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বেমালা বাতাসের লগে ঘরের পাশের রেন্ডি গাছ ভাইঙ্গা ঘরের উপরে পড়ছে। এতে আমার ঘড়ডা ভাইঙ্গা তছনছ হইয়া গেছে।

একই রকম এই ইউনিয়নে আরও দুটি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিচ্ছিন্নভাবে ঝড়ে বসতঘর দুমড়েমুচড়ে গেছে।

এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৈফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, হঠাৎ ঝড়ে দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় একটি মাদরাসার ও বেশ কিছু বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।

ইমতিয়াজুর রহমান/এনএ