স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সারা দেশের মতো শেরপুরেও অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা থেকে ওই অভিযান শুরু হয়। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ঢাকা ল্যাব, হাজী নেয়ামত উল্লাহ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাফা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিরাপদ জেনারেল হাসপাতাল, আল বারাকা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তাহিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক প্যাথলজি প্রযুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মনির হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সরকার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্বদেশ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল, শেরপুর  চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল।

ইবনে সিনা জেনারেল হাসপাতাল, শাহজালাল হেলথ কেয়ার, ফিরোজ মর্তুজ হাসপাতাল, মমতাজ হাসপাতাল, ফ্যামিলি হেলথ কেয়ার, কবির প্যাথলজি, শেরপুর ডায়বেটিকস সমিতি, শেরপুর সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আর এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাবিয়া নার্সিং হোম, দি ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবেদা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একতা বন্ধন জেনারেল হাসপাতাল, জিনিয়া জেনারেল হাসপাতাল, সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শেরপুর মেডিনোভা হাসপাতাল, আল বারাকা হাসপাতাল, লাবিব প্যাথলজি, ইউনিক প্যাথলজিসহ মোট ২৫টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৮টি ক্লিনিক ও ১১১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করায় অনেক মালিকপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করেনি। 

সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য জানান, ইতোমধ্যে যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে মালিকরা যদি শর্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ প্রস্তুত করে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করেন, তাহলে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেব।

জাহিদুল খান সৌরভ/এনএ