স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযানে নেমেছে নাটোরের স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের নেতৃত্বে শহরের মাদরাসা মোড়ে সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পদ্মা ক্লিনিক, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তামান্না ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মদিনা চক্ষু হাসপাতাল, চক্ষু ক্লিনিক ও ফ্যাকো সেন্টার, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার সিলগালা করে দেন। 

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. রাসেলসহ অন্যান্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, নাটোরে বৈধ-অবৈধ দুই শতাধিক ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে বৈধ রয়েছে ১৭০টি। প্রথম দিনে মোট ১২টি তালিকা নিয়ে বন্ধ অভিযান চললেও বন্ধ করা হয়েছে সাতটি। বন্ধের তালিকায় রয়েছে বাকি ৫টি হচ্ছে, শেফা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাটোর ডায়াবেটিক, হৃদ ও চক্ষু হাসপাতাল, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, গ্রামীন হাসপাতাল ও জমজম হাসপাতাল।

নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। যাদের কোনো কাগজপত্র নেই, অথচ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক খুলে ব্যবসা করছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেওয়া হচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশেই অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার যতদিন না বন্ধ করা সম্ভভ হচ্ছে, ততদিন এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তাপস কুমার/আরআই