সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে মানবজমিনের সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুরে সদর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন সাতক্ষীরা সদরের তুজুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মানবজমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় হালদার মামলার এজহারে উল্লেখ করেন, গত ২২ মে বেলা ১২টার দিকে ইয়ারব হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন তাকে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় পকেটে থাকা ৮ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে নেয়। 

এ ঘটনার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানায় দাখিলকৃত মামলাটি ১৪৩, ৪৪৮, ১৮৬, ৩৮৫, ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় নথিভুক্ত করা হয়। 

অপরদিকে ২২ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন বেতনা নদী খনন প্রকল্পের তথ্য জানতে গেলে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরের নির্দেশে ঠিকাদার ও সিকিউরিটি গার্ডরা তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। ঘটনাটির খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, সদর থানা পুলিশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হামলার শিকার সাংবাদিককে উদ্ধার করেন। 

এ ঘটনার অভিযোগে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন বাদী হয়ে মারপিটে অংশ নেয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার মুনসুর আলীকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখপূর্বক থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, আনসার সদস্য শহিদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সহযোগী অস্ত্র ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, তন্ময়, রুবেল, জুয়েল, খায়েরসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন। গত শুক্রবার (২৭ মে) রাতে মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়। মামলা নম্বর ৭১।

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডে মারপিটের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখব। শুক্রবার (২৭ মে) সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় হালদারের দেওয়া মামলাটিও নভিভুক্ত করা হয়েছে। 

সাংবাদিক ইয়ারবকে মারপিট করার পর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার বিরুদ্ধে মামলা কেন, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করছি। সাংবাদিক দোষী না হলে আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

আকরামুল ইসলাম/এমএএস