যশোরে একটি ক্লিনিকসহ ছয়টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার (২৮ মে) জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাকিব রাসেলের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করেন। 

অভিযানে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজসহ  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাকিব রাসেল বলেন, শনিবার অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। দিনভর যশোরের ৩৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান
চালালে এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে যতদিন পর্যন্ত তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়া ক্লিনিক ও  ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- যশোর শহরের পিস হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নূরুল ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোটারি হেলথ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টার। 

প্রসঙ্গত, যশোর জেলায় ২৯১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে এর মধ্যে কিছু অনিবন্ধিত ও আবার কিছুর নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল তারা।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সময়ের পর নিবন্ধনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। 

জাহিদ হাসান/ওএফ