ভাঙনে বিলীন হওয়ার পর সুগন্ধা নদীর তীর

ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকায় সুগন্ধার ভাঙনে নদীতীরবর্তী আধা কিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শুরু হওয়া ভাঙনে এরই মধ্যে একটি বসতঘর ও গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এলাকা রক্ষার দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানববন্ধন করে।
 
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, দুপুরে আকস্মিকভাবে গুরুধাম এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এতে মোনাছেফ হাওলাদারের বসতঘর নদীতে তলিয়ে যায়। তিনি ঘরের ভেতরের কিছু মালামাল রক্ষা করতে পারলেও বসতঘরটি বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ভাঙনে অনেক গাছপালাও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। 

ভাঙনকবলিত নদীতীরবর্তী এলাকা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে ঝালকাঠি জেলা বাসস্ট্যান্ড, একটি বালির খোলা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কয়েকশ বসতঘর। নদীতীরে বিশাল ফাটল ধরে আছে। যেকোনো সময় ভাঙনে এসব স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র দাস বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে একটি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ভাঙনকবলিত নদীতীরবর্তী এলাকাটি রক্ষার দাবিতে ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুধাম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মানববন্ধন করেন। ভুক্তভোগীরা ভাঙনরোধে সরকারি ব্লক দেওয়ার আবেদন জানান।

জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘সুগন্ধা নদীতীরবর্তী গুরুধামে ২৫০ মিটার এলাকা ভেঙেছে। জেলা প্রশাসন থেকে সাহায্যের চিন্তা করছি। পাউবোকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় জিওব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ভাঙনরোধ করার জন্য আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) জমা দেওয়া আছে। প্রজেক্টটি যাতে দ্রুত পাস হয় এ জন্য আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ও চেষ্টা করছেন।’

ইসমাঈল হোসাঈন/এমএসআর