বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতু ব্যবহার করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে আরেকটি ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেতু নির্মাণের দেড় বছর পরও পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা পুরাতন বিদ্যালয় ভবন না ভাঙায় সেতু ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। এজন্য কোনো উপকারে আসছে না ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। 

জানা গেছে, রত্নপুর ইউনিয়নের উত্তর বারপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয়ের সামনে ২৪ ফুট দৈর্ঘের সেতু নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দেড় বছর পার হলেও সেতুর একপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা গেলেও বিদ্যালয়ের অংশে জায়গা না থাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা অমল জয়ধর বলেন, সেতুর এক পাশে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন থাকায় ওই ভবনটি না ভাঙা পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই পাশের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে শিশুরা। 

আরেক বাসিন্দা রণজিৎ বাড়ৈ বলেন, আমরা চাই অতিদ্রুত নতুন সেতুটি চালু করা হোক।

মৃনাল পান্ডে জানান, পুরাতন সেতুতে মানুষ উঠলে কাঁপতে থাকে। অথচ নতুন সেতু নির্মাণের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নতুন সেতুটি চলাচলের উপযোগী করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বারপাইকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নমিতা রানী সমদ্দার বলেন, সেতুর সামনে থাকা বিদ্যালয়ের পুরাতন ওই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় ওই ভবনটি ভাঙার জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। ভবনটি ভেঙে ফেললে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারেবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত হেসেন বলেন, অতিদ্রুত টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে সেতুর এক পাশে থাকা বিদ্যালয়ের ভবনটি ভেঙে সেতু দিয়ে চলাচলের জন্য সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের চলাচলে আর কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর