শরীরে পচন ধরা অসহায় হুমায়ূন কবিরের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১ জুন) দুপুরে অসুস্থ হুমায়ূনের স্ত্রী-সন্তানের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ।

চিকিৎসার খরচ হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গুরুতর অসুস্থ হুমায়ূনের স্ত্রী শাহেদা বেগম। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে মানুষটি অচল। আমার সংসার চলেছে অর্ধাহারে-অনাহারে। দুই বছর আগে তার শরীরে পচন ধরে। কিন্তু চিকিৎসার টাকা ছিল না। স্থানীয় মানুষজন সাহায্য করে একবার চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠিয়েছিল। 

তারপর আর চিকিৎসা করা হয়নি। কয়েকদিন আগে এলাকাবাসীর সহায়তায় ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। খরচ জোগাতে না পেরে আবার বাড়িতে নিয়ে আসি। একটা ট্যাবলেট কেনারও উপায় ছিল না। আজ ডিসি স্যার আমাদের ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এখন আমার স্বামীর চিকিৎসা শুরু করতে পারব।

শাহেদা বলেন, অনেক মানুষের কাছে গিয়েছি সাহায্যের জন্য। কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছে। ঢাকা পোস্টে সংবাদ হওয়ার পর সমাজ সেবা অফিসের সাজ্জাদ পারভেজ স্যার আমাদের ডেকে পাঠান। তিনি আশ্বস্ত করেন চিকিৎসার ব্যবস্থা করাবেন। এরপরে ডিসি স্যারের কাছে আবেদন করলে স্যার চিকিৎসার টাকা দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের যেন আল্লাহ সারাজীবন ভালো রাখেন।

প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক স্যার নিজেই খবর নিতে বলেন। খবর নিয়ে জানতে পারি প্রকৃতপক্ষেই পরিবারটি অসহায়। এ জন্য তার চিকিৎসার সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ মার্চ ‘শরীরে ধরেছে পচন, বিনা চিকিৎসায় মরতে চান না হুমায়ূন’ শিরোনামে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশ হয়। হুমায়ূন কবির বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বড় কসবা পূর্বপাড়ের সরদার বাড়ির নাজের সরদারের বড় ছেলে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই