নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত-এ-খুদার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। 

রোববার (৫ জুন) উপজেলার মদনপুর কেওডালা এলাকায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই অভিযানে দুইটি কয়েল ফ্যাক্টরিসহ ৩ হাজার অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ পাইপ ও রাইজার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তিতাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সুরুজ আলম বলেন, বন্দরের কেওডালা এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উচ্চ চাপসম্পন্ন শিল্প সংযোগ থেকে অবৈধভাবে ৩ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপ দিয়ে ৩ কিলোমিটার বিস্তৃত আবাসিক সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এই পাইপলাইনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় এ এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। 

বিষয়টি জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত-এ-খুদার নেতৃতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করাসহ কয়েল কারখানার পাঁচ কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। সোনারগাঁ অঞ্চলের সব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত অভিযান আব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
 
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত-ই-খুদা ঢাকা পোস্টকে জানান, বন্দর উপজেলায় বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আঁধারে সেই লাইন থেকে পাইপলাইন স্থাপন করে এখানে প্রায় ৩ হাজার বাড়ি-ঘর ও দুইটি কয়েল কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস বিক্রি করতেন। 

এমন খবরের ভিত্তিতে আজ এই এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক কিলোমিটার গ্যাস পাইপ জব্দ করা হয়েছে। কয়েলের কারখানা দুটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় বন্দর উপজেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও বন্দর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরআই