চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনে প্রাণ হারান শাহাদাত মজুমদার। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায়। তিনি আনন্দপুর ইউনিয়নের আমিন উল্লাহ মজুমদারের ছেলে। ডিপোতে তিনি শিফট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ৩ জুন ছুটি শেষে কাজে যোগ দেন শাহাদাত। কে জানতো, কাজে যোগদানের একদিন পরই তার পরিবারকে এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হবে। বাড়িতে এখন চলছে সন্তান হারানোর শোকের মাতম।

অগ্নি বিস্ফোরণে নিহত শাহাদাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের শোকে ভেঙে পড়েছেন তার মা-বাবা। পরিবারের কর্মক্ষম বড় ছেলেকে হারিয়ে তারা শোকে স্তব্ধ। ভেঙে পড়েছেন অন্য স্বজনরাও। বাড়িতে এখন শুধুই শোকের মাতম।

পরিবার ও স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবারে একদিনের ছুটিতে বাড়িতে আসেন শাহাদাত। শনিবার সকালে আবার কাজে যোগদান করেন। ডিউটি শেষ করে বাসায় যান। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ডিপোতে আসেন। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। বিস্ফোরণের পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

রোববার দুপুরে স্বজনরা জানতে পারেন চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার মরদেহ চিহ্নিত হয়েছে। পরে গ্রামের বাড়িতে এনে মরদেহ দাফন করা হয়।

ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার ঢাকা পোস্টকে জানান, শাহাদাত খুব ভালো ছেলে ছিল। ফেনী সরকারি কলেজে স্নাতক পাশ করেই চাকরিতে যোগ দেন। বিএম কন্টেইনার ডিপোর শিফট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে তিন বছর আগে একই এলাকায় বিয়ে করেন শাহদাত। তার আড়াই মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মো. আরিফুল ইসলাম আকাশ/এমএইচএস