সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে মৃত এমরান হোসেন মজুমদারের ছবি হাতে নিয়ে স্বজনরা। ইনসেটে এমরান মজুমদার।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামের এমরান হোসেন মজুমদার মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

এমরান হোসেন মজুমদার ওই গ্রামের মৃত মকবুল ক্বারীর ছেলে।

জানা গেছে, ২০০১ সালে এমরান হোসেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফায়ার লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে রাসায়ানিক পদার্থ বিস্ফোরণে এমরান হোসেন মুজমদার মারা যান।

তার মৃত্যুর খবর শুনে গ্রামের বাড়ি কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ছেলে তাহসিন মজুমদার ও প্রতিবন্ধী মেয়ে তোবা মজুমদার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

এমরান হোসেন মজুমদারের ভাই সোলমান পাটওয়ারী বলেন, শনিবার রাতে আমার ভাই বাড়িতে শেষ কথা বলে। ভাইয়ের এমন মৃত্যু আমরা মানতে পারছি না। ভাইকে হারিয়ে শোকে কাতর পুরো পরিবার।

এমরানের আত্মীয়-স্বজনরা জানান, এমরান হোসেন একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়ে রয়েছে। তাকে হারিয়ে এখন পরিবারটি নিঃস্ব।

তারা আরও জানায়, শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। কিছুক্ষণ পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পায়। তার লাশ শনাক্ত করে গ্রামের বাড়ি ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এমরান মজুমদার নামে কচুয়ার একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। তবে  তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ জানায়নি। তাই বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছি না।

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শাহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরের কচুয়ার ছেলে এমরান নামে একজন দমকল কর্মী নিহত হয়েছেন।

এসপি