চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ক্রেন অপারেটর মো. জুয়েল। তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা।

এদিকে মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকেলে মরদেহ শনাক্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের জন্য রক্তের নমুনা দিয়েছে জুয়েলের ৮ বছরের ছেলে হৃদয়। 

বিএম কনটেইনার ডিপোর নিখোঁজ ক্রেন অপারেটর মো. জুয়েল নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে। 

জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন জুয়েল। তিনি স্ত্রী ও ২ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ডিপোর পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন। অগ্নিকাণ্ডের পর তার স্ত্রী সোনিয়া, ভাই মোশারফ ও সন্তানসহ দুর্ঘটনাস্থল, হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব স্থানে খোঁজ করেছেন। কিন্তু জুয়েলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জুয়েলের ভাই মোশারফ বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি, অজ্ঞাতদের মরদেহের মধ্যে জুয়েলের লাশও রয়েছে। এজন্য মরদেহ শনাক্তের জন্য হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের জন্য ছেলের রক্তের নমুনা দিয়ে এসেছে জুয়েলের স্ত্রী। জুয়েলের কথা চিন্তা করে আমার মা ছকিনা খাতুন বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।

জুয়েলের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিপোর পাশেই আমরা ভাড়া বাসায় থাকতাম। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে স্বামীর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। মর্গে ও হাসপাতালে ছোটাছুটি করছি। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ পাচ্ছি না। ডিএনএ টেস্টের নমুনা দেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে এক মাস পর খোঁজ নেওয়ার জন্য।

হাসিব আল আমিন/এসপি