চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাসুদ রানার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বয়সিং এলাকার নিজ বাড়ির আঙিনায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়। 

মাসুদ রানা ওই গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান ও জমেলা বেগমের ছেলে। শনিবার (০৪ জুন) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হন মাসুদ। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা যান তিনি। 

বৃহস্পতিবার ভোরে তার মরদেহ নিজ গ্রাম বয়সিংয়ে এসে পৌঁছালে সকাল ৮টায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানা গেছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন মাসুদ মিয়া। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পরিবারে সচ্ছলতা আনতে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই তাকে পাড়ি জমাতে হয় সৌদি আরবে। ৫ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে আসেন। এরপর ২০১৫ সালের দিকে নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে যান বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। পরে সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোর একটি কোম্পানিতে গাড়িচালকের চাকরি নেন। সেখানে তিনি এক সপ্তাহ দিনে এবং পরের সপ্তাহ রাতে ডিউটি করতেন। 

গত শনিবার রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে তিনিও গুরুতর দগ্ধ হন। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

উবায়দুল হক/এসপি