গোপনে আয়োজন করা হয়েছিল বাল্যবিয়ের। সন্ধ্যার পর পাত্র ও পাত্রপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে পারিবারিকভাবে হয়েছিল বিয়ের সব আয়োজন। তবে বিয়ে পড়ানোর ঠিক আগ মুহূর্তে বিয়েবাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পাত্র ও পাত্রী পক্ষ প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেলেও ইমামকে ধরে ফেলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ইমামকে। 

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে বাল্য বিয়ে পড়ানোর দায়ে আবু বাক্কার নামে এক ইমামকে এই জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

জরিমানা করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত। এতে সহযোগিতা করেন কানসাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ।

মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হায়াত। তিনি বলেন, বিয়ের প্রায় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল। শুধুমাত্র কবুল পড়ানো বাকি ছিল। কবুল পড়াতে যাবে ঠিক সেই সময়ে আমরা উপস্থিত হই। 

খবর পেয়ে ছেলে ও মেয়ে পক্ষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ইমামকে আটক করে গ্রাম পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইমামকে জরিমানা করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বাল্যবিয়ে সমাজের জন্য একটি মারাত্বক ব্যাধি। বাল্যবিয়েমুক্ত সমাজ গড়তে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাল্যবিয়েমুক্ত সমাজ গড়তে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম/আরআই