নাম তার লাল বাবু। আকার-আকৃতি ও বাহ্যিক সৌন্দর্যও বাবুর মতো। ওজন আড়াই মণের বেশি (১০৫ কেজি)। সাদা ও হালকা লালচে রঙের আকর্ষণীয় তোতাপুরি জাতের ছাগলের লালন-পালন করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ইউসুফ আলী।

জানা গেছে, ১৫ দিন আগে গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা এলাকা থেকে ৭০ হাজার টাকায় লাল বাবুকে কিনে আনেন ইউসুফ আলী। তখন থেকেই লাল বাবুকে দৈনিক ৩০০ টাকার খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি। এখন বিক্রি করলে ১ লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি ইউসুফের।

ঢাকা পোস্টকে ইউসুফ আলী বলেন, ছাগল আমার খুব পছন্দের প্রাণী। তাই গত ১০ বছর থেকে অনেক বড় বড় ছাগল পালন করি। লাল বাবুকে গত ১৫ দিন আগে চৌডালার এক লোকের কাছে থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনে এনেছি। সে কলা, মুড়ি, কাঁঠাল-আমের পাতা, গম, ডালের গুঁড়া খায়। দানাদার ও ঘাস মিলিয়ে দৈনিক ৩০০ টাকার খাবার দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, গরমের সময় ফ্যান ছাড়া লাল বাবু থাকতে পারে না। তাই তার থাকার ঘরেও ফ্যান লাগিয়েছি। মশা-মাছি থেকে রক্ষা করতে রাতে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোকজন তাকে দেখতে আসছে।

কানসাট থেকে লাল বাবুকে দেখতে এসেছেন সাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফেসবুকে একটি গ্রুপে ছাগলটির ছবি ও ঠিকানা সম্পর্কে জানতে পারি। তাই সরেজমিনে দেখতে চলে আসলাম। দেখে খুব ভালো লাগছে। কারণ এত বড় ছাগল এর আগে কোনো দিন দেখেনি। 

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সিংহ মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১১০ কেজির আরও একটি ছাগল রয়েছে। তাই এটা জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় ছাগল। গত বছর জেলায় সর্বোচ্চ ৯০ কেজি ওজনের একটি ছাগলের দেখা মিলেছিল। দিন দিন এখানকার মানুষের বড় ছাগল পালনের প্রতি চাহিদা বাড়ছে।

জাহাঙ্গীর আলম/এসপি