চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মেরিন একাডেমিঘাটে জাহাজ এমভি বে-ওয়ান

শুধু টেকনাফ নয়, বর্তমানে কক্সবাজার থেকেও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন যান পর্যটকরা। প্রতিদিন যাওয়া-আসায় ১৯০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় জাহাজে। রোমাঞ্চকর এই সমুদ্রভ্রমণ বেশ উপভোগ করেন পর্যটকরা।

সেই উপভোগে নতুন মাত্রা যোগ করছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের মালিকানাধীন নতুন জাহাজ এমভি বে-ওয়ান।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মেরিন একাডেমিঘাটে এ জাহাজের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তারপর কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি। সেখান থেকে জাহাজটি প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা রয়েছে।

এমভি বে-ওয়ান জাহাজের উদ্বোধনী অনেুষ্ঠানে অতিথিরা
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পর্যটন খাত এগিয়ে নিতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একবছরের মধ্যে দেশের পর্যটনখাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এমভি বে-ওয়ান তারই একটি অংশ।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

এসময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পর্যটনখাতে অগ্রগতি আসতে নতুন নতুন চ্যানেল খনন করেছে সরকার। আর এ চ্যানেল ব্যবহার করে এমভি বে-ওয়ান আলো বয়ে আনবে।

সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এটি ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিবে এ জাহাজ।

সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ভরাট হওয়া চ্যানেল পরিষ্কার করে শেখ হাসিনা সরকার সমুদ্রভ্রমণে নতুন মাত্রার পাশাপাশি এ জাহাজ পর্যটনশিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দিনে আমরা নতুন জাহাজ পেয়েছি।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সে রব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ আহমেদ বলেন, কক্সবাজারের পর্যটনে এ জাহাজসহ আমাদের দুইটি চলছে। পর্যটনখাতের উন্নয়নে আরও বড় জাহাজ আনার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

এমভি বে-ওয়ানের প্রেসিডেন্ট স্যুট

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রামচন্দ্র দাশ, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাবের, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি জাহাজটিতে আছে কেবিন, প্রেসিডেন্ট স্যুট ও সাধারণ আসন মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার আসন। আছে রেস্তোরাঁও। জাহাজটিতে অপারেটিং ক্রু হিসেবে ১৭ জন, যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবেন ১৫০ জন ক্রু। এছাড়াও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ, রাত্রিযাপন ও বিভিন্ন স্বাদের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে।

এমভি বে-ওয়ান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট ও প্রস্থ ৫৫ ফুট। জাহাজটির গ্রস টনেজ ৫০১৯, জাহাজটিতে মোট ১১২০০ বিএইচপি সম্পন্ন মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন রয়েছে। যার দ্বারা জাহাজটি প্রতিঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। উত্তাল সমুদ্র মোকাবিলায় জাহাজটিতে ফিন স্ট্যাবিলাইজার সংযুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এমএসআর