বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকা রেমাক্রী ইউনিয়নে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত চার দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেন থাং পাড়ার কার্বারী মেনথাং ম্রো (৪৯), নারিচা পাড়ার বাসিন্দা লংঞী ম্রো (৪৫), ইয়ং নং পাড়ার বাসিন্দা ক্রাইয়ং ম্রো ৬০ এবং সিংচং পাড়ার বাসিন্দা প্রেণময় ম্রো (১১)। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে চারটি পাড়ার ৬০ জনেরও বেশি বাসিন্দা।

জানা গেছে, শুষ্ক মৌসমে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেওয়া দূষিত পানি পান করায় রেমাক্রী ইউনিয়নে দুর্গম মেন থাং পাড়া, নারিচা পাড়া, ইয়ং নং পাড়া ও সিং চং পাড়ায় অর্ধশতাধিক মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওষুধ ও খাওয়ার স্যালাইনের অভাবে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেমাক্রী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুই শৈ থুই মার্মা জানান, বর্ষায় শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে ঝিরি-ঝরনা-খাল থেকে দূষিত পানি পান করার কারণে ডায়রিয়া ছড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত চারটি পাড়ায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাওয়ার স্যালাইন ও মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্য ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, থানচির দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। সেখানে পর্যাপ্ত ওষধ, খাওয়ার স্যালাইন ও মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।

দুর্গম এলাকা হওয়ায় যাতায়তব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালে এনে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না। মূলত এই সময়ে পাহাড়ে ঝিড়ি-ঝরনা ও পানি দূষিত হওয়ায় এসব পান করে মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে।

রিজভী রাহাত/এনএ