পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঝলমল করে জ্বলল বিদ্যুতের আলো। সোমবার (১৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে মাওয়া প্রান্তের ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে জ্বলে উঠে ২০৭টি বাতি। ফলে প্রথমবার মাওয়া প্রান্তের সবগুলো ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বলল।  

এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জালানো হয় সেতুতে। ওই দিন সেতুর ১৪ নম্বর থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর সবকটি বাতি জালানো হয়। তখন সেতুতে জেনারেটরের মাধ্যমে বাতি জালানো হয়েছিল।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম মাওয়া প্রান্তের ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জালানো হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই আলো জ্বালানো হয় পদ্মা সেতুতে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার জাজিরা প্রান্তের বাতিগুলো বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে জালানো হবে। এরপর সম্পূর্ণ সেতুর বাতিগুলো এক সঙ্গে জালানো হবে। সম্পূর্ণ সেতুর বাতি একসঙ্গে জালাতে দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় ১৮ এপ্রিল। এর আগে ২৪ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিলারে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ৮০ কিলোওয়াট ও মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া আরও ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হবে।

আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। ২৬ জুন সকাল থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে।

ব.ম শামীম/এসএসএইচ