আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবাদকর্মী গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ফকিরা বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে বসুরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সমর্থকদের নিয়ে চাপরাশিরহাটে মিছিল করেন। পরে চরফকিরা বাজারে সমাবেশ করছিলেন তিনি।

কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

এ সময় পৌর মেয়র কাদের মির্জা সমর্থিত চরফকিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সমাবেশস্থলে পৌঁছালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বার্তা বাজারের প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ সংবাদকর্মী বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির

এ বিষয়ে আব্দুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যদি কোনো মায়ের বুক যদি খালি হয়, তার দায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিন এবং প্রশাসনকে নিতে হবে। যারা হামলা চালিয়েছেন তারা এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারীর লোক। আমি তাদের বিচার চাই।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। আমার অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

কোম্পানিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা হয়নি।

হাসিব আল আমিন/এএম