জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় খাজা আল-আমীন সোহাগ (৪২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব বাজারের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।

সোহাগ জয়পুরহাট পৌর শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লার বাসিন্দা খাজা শামসুল আলমের ছেলে। তার বাবা জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলার আবেদন করেন জয়পুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন সাবু। মামলায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) জেলার শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে অপপ্রচার করার অভিযোগ করেছেন। 

আদালত মামলাটির আবেদন গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাজা আল-আমীন সোহাগের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তিনি পূর্ব বাজারের একটি বাসাতে আত্মগোপনে ছিলেন। আজ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাদী জানতে পারেন, খাজা আল-আমীন সোহাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজ আইডি থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা জিপি, পিপিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির মান-সম্মান, চরিত্র হনন এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করেন।

এ ছাড়া তিনি জয়পুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অর্থের বিনিময়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ বিক্রি করা হয়েছে মর্মে গত ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি পোস্ট করেন। এভাবে অপপ্রচার ও মানহানীকর পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

চম্পক কুমার/আরআই