বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতার জন্য মাটিতে গর্ত করছিলেন কয়েকজন। কিছুক্ষণ গর্ত করার পর ওই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে কালো রঙের তেলজাতীয় তরল পদার্থ। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে জগ, মগ, বালতিসহ নানা রকম পাত্র নিয়ে তেল জাতীয় ওই পদার্থ সংগ্রহ করতে ওই গর্তে ছুটে যান স্থানীরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকার মোজাম্মেল হকের বাসার সামনে ঘটনাটি ঘটে। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের সদস্যরা। পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌরশহরের কাচারী রোড এলাকায় ইাতোমধ্যে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। এসব বিল্ডিংগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য খুঁটি পোঁতাসহ পাইলিংয়ের জন্য গাড়তে হচ্ছে লোহার পাইপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকার মোজাম্মেল হকের বিল্ডিংয়ের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি পুঁততে যান মিস্ত্রী শফিকুল ইসলাম।

পরে তার বাসার সামনে মাটি খুড়ে প্রায় ৩ ফুট যাওয়ার পর ঘন-কালো ডিজেলের মতো তেলজাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে। পরে কেউ কেউ তা প্লাস্টিকের মগ দিয়ে উঠিয়ে আগুন জ্বালাতে গিয়ে বুঝতে পারেন এটা কোনো জ্বালানি দ্রব্য।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশ-পাশের উৎসুক জনতা বালতি, মগ ও কলসি নিয়ে সংগ্রহ করতে থাকে ওই তেলজাতীয় পদার্থ। 

এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজীব-উল-আহসান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শুক্রবার (১৭ জুন) তিতাস অফিসের কর্মকর্তারা দুর্গাপুরে এসে গর্ত থেকে বের হওয়া তেলের নমুনা ঢাকায় নিয়ে গেছেন। সেখানে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এটা কী ধরনের পদার্থ এবং তা কোন উৎস থেকে এসেছে।

জিয়াউর রহমান/আরআই