মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নে ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। এতে বন্যার কবলে পড়েছেন অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কুলাউড়ার লংলা পাহাড়ের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কর্মধার মহিষমারা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান নজিব আলীর বাড়ির পাশে বাঁধ ভেঙে যায়। 

বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হয় ইউনিয়নের বাবনিয়া, মহিষমারা, কর্মধা, বেরী, হাসিমপুর, ভাতাইয়াসহ কয়েকটি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মাহদি হাসান জানান, ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। এ পানি ছড়িয়ে যেতে পারে রবিরবাজার থেকে কুলাউড়া শহর পর্যন্ত। এদিকে ভারতের কৈলাশহর বেয়ে আসা মনু নদীতেও পানি বাড়ছে দ্রুত। 

কমর্ধা গ্রামের তামজিদ আলী জানান, ফানাই নদীতে অতিরিক্ত পানি হওয়ার কারণে মহিষমারা প্রধান রাস্তা ভেঙে মানুষের শত শত জমির ফসল এখন পানির নিচে।

কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। পানিতে এলাকায় কৃষিজমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ আসেনি। 

তিনি জানান, বাঁধের এ রাস্তাটাই ছিল গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। বর্তমানে কয়েকটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। 

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ফানাই নদীর বাঁধ ভাঙার কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী হাতে রয়েছে। কুলাউড়ার ইউএনওকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

ওমর ফারুক নাঈম/আরআই