উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, যমুনার পানি বাড়ায় ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরি ইউনিয়ন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নিম্লাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে। গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে পানিতে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। যমুনার সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। এতে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

ইসলামপুরের বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক এবং চিনাডুলী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, তাদের ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম ও অসংখ্য বাড়ি-ঘর ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। জমির শাকসবজি, পাট, আখ ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।

জামালপুরের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উবায়দুল হক/এনএ