বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৮) নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া কলেজশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে চার দিন পেরিয়ে গেলেও ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার বা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিধিমোতাবেক কলেজ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভাষক মোকছেদুল হক ফারুককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কলেজশিক্ষক মোকছেদুল হক ফারুক (৩৭) ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের কারিগরি শাখার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক ও উপজেলার কান্তনগর গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোকছেদুল হক ফারুক প্রায় ছয় বছর আগে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। সেখানে তাদের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। বতর্মানে তিনি কলেজের পাশে বাসা ভাড়া করে থাকেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। স্কুলে পড়াকালীন তিনি ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পরও তাকে প্রাইভেট পড়ান।

এক মাস আগে পারিবারিক সম্মতিতে উপজেলার বাকশাপাড়া গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়। এরপর ছাত্রী তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। গত শুক্রবার সকালে তার স্বামী বাড়িতে যান। এ সুযোগে ওই দিন বিকেলেই কলেজশিক্ষক ফারুক ও ছাত্রী উধাও হয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দেন।

ছাত্রীর পরিবারের দাবি, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াকালীন থেকেই ফারুক ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন ফারুক।

ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

এনএ