খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর তীরবর্তী এলাকাসমূহ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে। এসব মানুষগুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোন।

সোমবার (২০ জুন) দুপুর ১টায় উপজেলার বেতছড়ি, চোংড়াছড়ি ও মেরুং বাজার এলাকায় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন দীঘিনালা জোনের বেবি টাইগার্স-৪ বেঙ্গলের উপ অধিনায়ক মেজর নাজিম আহম্মেদ (পিএসসি)।

উপ অধিনায়ক মেজর নাজিম আহম্মেদ জানান, দীঘিনালা উপজেলার যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীঘিনালা জোন সবসময় পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা পরিবারের মাঝে দুপুরের খাবার, চাল, ডাল, তেল, লবন, খাবার স্যালাইন, বিস্কুট ও পানি দেওয়া হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা জোনের বেবি টাইগার্স ৪ বেঙ্গলের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মজিদ।

আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করা মল্লিকা দেবী (৩৮) জানান, ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এ কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছি। সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোন আমাদেরকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে।  

পুলং চাকমা জানান, সেনাবাহিনীর কাছ থেকে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে ভালো লাগছে। এই সময়ে এগুলো আমাদের অনেক উপকারে লাগছে। না হয় আমাদের খুব কষ্ট পেতে হত।

প্রসঙ্গত, পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার বেতছড়ি বাজার ও মেরুং বাজার পানিতে তলিয়ে যাবে। এদিকে পানিতে তলিয়ে আছে মেরুং বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ীর দোকান। এ ছাড়া বড় মেরুং এলাকায় বন্যার পানিতে স্টিলের ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালা ও লংগদু সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা নৌকায় পারাপার হচ্ছে লোকজন।

জাফর সবুজ/আরআই