স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের সবকটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজারের সঙ্গে তলিয়ে গেছে সড়ক-মহাসড়ক। বন্যার ভয়াল থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট-ভোলাগঞ্জের বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক।হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়কের ভাঙন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন?

বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর এবার ভাঙতে শুরু করেছে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ মহাসড়ক। পানির তোড়ে সরে গেছে সড়কের বেশ কয়েক অংশের মাটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের হাবির দোকানের জায়গা। সেখানে রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে গেছে বেশ কয়েক ফুট।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরে ৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরে ৩১ দশমিক ৭৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কাজ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সময়ের ব্যবধানে কয়েক ধাপে বাড়ে এর নির্মাণব্যয় ও সময়কাল। চুক্তির প্রায় পাঁচ বছর পর মহাসড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ওয়েটস্কেল স্থাপনসহ আরও অনেক কাজে নির্মাণ ব্যয় ছাড়িয়ে যায় হাজার কোটি টাকা। নির্মাণ কাজের পর চুক্তি অনুযায়ী ৩ বছরের রাস্তা দেখভাল করার দায়িত্ব পায় স্প্রেক্টা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি। বর্তমানে তাদের দায়িত্ব পালন নিয়েও দেখা দিয়েছে নানাবিধ প্রশ্ন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় সড়ক জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার (২০ জুন) আমরা সড়কটি পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি আমরা ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছি। বন্যার কারণে যে অংশের মাটি সরে গিয়েছে সে অংশে মাটি ফেলা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি টিমও কাজ করছে। আপাতত ভাঙন থেকে সড়কটি রক্ষায় যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।

মাসুদ আহমদ রনি/এসপি