বন্যার কবলে পড়ার পর থেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। পরে পানির তোড়ে ভেসে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকার মইনুল ইসলাম। ঘরের ভেতর কোমরসমান পানি ঢোকার পর এক পায়ে ভর করে এসেছেন বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে।

আসার দুদিন পর থেকে দিনে এক বেলা একটি খিচুড়ির প্যাকেট পেতেন। এই প্রথম পেলেন শুকনো খাবার। তা পেয়ে আনন্দিত হয়ে ওঠে মইনুলের মুখ। সুনামগঞ্জ জেল পুলিশের উদ্যোগে এই হাসি ফুটেছে মইনুলের মুখে।

 


 
সুনামগঞ্জের বন্যায় দ্রুত বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সবার আগে পাশে ছিল পুলিশ। উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি নিয়োজিত থাকতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। এসবের পাশাপাশি  খাদ্যসংকট মোকাবিলা পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একদল সদস্য বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র কয়েকটি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করে। শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে এই সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

জেলা পুলিশ জানায়, তাদের কাজ হচ্ছে নিরাপত্তা দেওয়া। পাশাপাশি তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে মানুষদের পাশে দাঁড়ানোকে জরুরি মনে করেছে তারা। এই ক্রান্তিলগ্নে নিজদের বেতনের টাকা থেকেও খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জ শহরে যখন পানি ঢোকে, সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় পুলিশ। আমরা আমাদের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি মানবিক কাজগুলোও করে যাচ্ছি।

সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল এসপি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন বলেন, সরকার বন্যার্তদের জন্য আলাদাভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়। আমাদের সে রকম কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না। আমরা নিজেদের বেতন থেকে সুনামগঞ্জের মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

এনএ