আমাগো আর ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। পোহাতে হবে না যানজট, ভোগান্তি। এখন অল্প সময়ের মধ্যে যেতে পারব ঢাকা। করতে পারব সুচিকিৎসা। মাদারীপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের শিবচরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে আসা এক স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবদুল মান্নান এসব কথা বলেন।

সকাল থেকে সড়ক ও নৌপথ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষের ঢল নামে পদ্মার পাড়ে। দলে দলে সবাই এসেছেন সভামঞ্চে।

যানবাহনের চাপ থাকায় অনেকে হেঁটে আবার অনেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে এসেছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তারা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে এসেছেন।

রাজবাড়ী সদর থেকে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন সংগীতশিল্পী মনজুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা একই এলাকার ৭০ জন একটি বাস ও প্রাইভেট কার নিয়ে এখানে এসেছি। রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকায় অনেক দূর পায়ে হেঁটে সভাস্থলে পৌঁছেছি। একটু কষ্ট হইলেও অনেক মানুষের সঙ্গে একসাথে আসতে আনন্দ লেগেছে।

পদ্ম সেতুর সুফল আপনি কীভাবে পাবেন, জানতে চাইলে বলেন, এহনের পর থেকা আমাগো আর ফেরির জন্য এ ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা  থাকতে হবে না। এর থেকে আর কোনো আনন্দ আমাদের হয় না। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর থেকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।

শিবচেরর ঘাট এলাকায় সংযোগ সড়কে ভ্যানের ওপর বসে কথা হচ্ছিল চালক রাসেলের সঙ্গে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রেলপাড়া এলাকা থেকে এসেছেন। তার সঙ্গে রয়েছে আরও প্রায় ৫০ জন। কেউ আবার জীবননগর থানার খালিসা এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দুটি বাস নিয়ে এসেছেন।

ভোরে ভোরে চলে আসার কারণ জানতে চাইলে রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আনন্দ করতে করতে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৃহৎ কর্ম পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। এসে দেখি এত সুন্দর রাস্তা, মনে হয় বিদেশে এসেছি। আমরা জনসভায় সামনের দিকে বসার জন্য আগেভাগে চলে এসেছি। আগে না এলে ভিড়ের মধ্যে পড়তে হতো।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে রং-বেরঙের টি-শার্ট পরে সেতুর দুই পারের সমাবেশস্থলে এসেছেন মানুষ। সেতুটি উদ্বোধনের ক্ষণটি স্মরণীয় করে রাখতে দুই পাড়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পদ্মা সেতুর ফিতা কাটার দৃশ্য দেখার জন্য সব কষ্ট উপেক্ষা করে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উৎসুক মানুষ।

এনএ/জেএস