পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শনিবার (২৫ জুন) বিকেল থেকে এ উৎসব শুরু হয়। এতে নাচে-গানে মেতে উঠেছে পদ্মা পাড়ে বেড়াতে আসা হাজারো দর্শকসহ এলাকাবাসী। ২৭ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। 

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক উৎসবে স্থানীয় শিল্পীসহ  উপস্থিত থাকবেন দেশবরেণ্য শিল্পী মিলা, নিশিতা বড়ুয়া, বিজয়, মামুন, হাসান, কর্ণিয়া, প্রীতম, কনা, অনন্ত, বর্ষা, বাঁধন, ফেরদৌস ,পূর্ণিমা ও মমতাজ। এখানে ব্যান্ড শিল্পীর মধ্যে, ব্যান্ড লালন, ওয়ারফেজ, ওল্ড স্কুল, শিরোনামহীন,স্পন্দন রনি, পাভেল, আরমানরা গান পরিবেশন করবেন। 

বিকেলে শিমুলিয়া ৩নং ঘাটের কাছে পার্কিং ইয়ার্ডে‌ গিয়ে দেখা যায়, অনুষ্ঠানস্থলে হাজারো দর্শক। নাচে-গানে মেতেছেন তারা। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। বাচ্চাদের খেলনা, নারীদের  বিভিন্ন গহনার ভাসমান দোকান বসেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড় জমাচ্ছে।

লৌহজংয়ের মাওয়া এলাকার বাসিন্দা রাসেল হোসেন নিরব বলেন, পদ্মা পারে এ ধরনের জমকালো অনুষ্ঠান এই প্রথম। ২৭ হাজার স্কয়ার ফুটের অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে এবং বাহিরে এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল বইছে।

রুপম হোসেন নামে এক তরুণ জানান, তার বাড়ি মিরপুরে। আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন। সবাই মিলে খুব আনন্দ করছেন। 

রাইসা নামে এক তরুণী জানান, তার গ্রামের বাড়ি শিমুলিয়ায়। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন তারা। পদ্মা সেতু দেখতে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তারা ঢাকা থেকে এসেছেন। 

স্থানীয়রা বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের মিলনমেলা বসেছে। কত মানুষ আসছে। আমরা নাচে-গানে সবাই পদ্মা সেতু চালুর আনন্দ উদযাপন করছি। এই ঘাটে এমন আয়োজন, এমন আনন্দ আর হবে কিনা জানি না।

লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে লৌহজং উপজেলার মানুষের ঘরে ঘরে আনন্দের জোয়ার বইছে। সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র ‌করে শিমুলিয়া ঘাটে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। রাতে হবে মনোমুগ্ধকর আতশবাজি উৎসব।

ব.ম শামীম/আরএআর