সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ২০০৬ সালে পাড়ি দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরিবারকে দেখতে গিয়ে করেননি বিয়ে। ১৬ বছর পর আগামী ১৪ জুলাই বাড়ি ফেরার জন্য টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু জীবিত বাড়ি ফেরা হলো না তার।

শনিবার (২৫ জুন) স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ইস্টার্ন কেপের কুইন্স টাউনে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।

নাম মো. আমির খসরু (৪৩)। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘাটলা গ্রামের লতিফ মিস্ত্রির বাড়ির আবদুস সোবহানের বড় ছেলে।

নিহতের বাবা আবদুস সোবহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায়। ৩ ছেলে আর ২ মেয়ের মধ্যে আমির খসরু সবার বড়। সে ১৬ বছর ধরে সেদেশে ছিল। বিয়েও করাতে পারিনি।  এবার বাড়িতে আসার জন্য ১৪ জুলাইয়ের টিকিট কেটেছিল। কিন্তু আমার বাবা আর ফিরে এল না। ঘুমের মধ্যে নাকি আমার ছেলে মারা গেছে। 

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমির খসরু আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। ১৪ তারিখের টিকিট কেটেছিল। ১৫ তারিখ তার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে আর জীবিত আসতে পারল না। ওর মৃত্যুর খবর শুনে অনেক কষ্ট হচ্ছে। 

হাসিব আল আমিন/এসপি