গত ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে সেতু দিয়ে সরাসরি মোটরসাইকেল যাতায়াত না করলেও পিকআপে করে মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছিল। পরে পিকআপে করেও মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করা হয়। তাই কৌশলে মোটরসাইকেল পিকআপে তুলে সেগুলো ত্রিপলে ঢেকে মালামালের গাড়ি বলে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলগামী মোটরসাইকেল আরোহীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাওয়া টোলপাজায় এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সকাল থেকেই যানজটহীন পরিবেশে বাস-ট্রাক-প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন টোল প্লাজা দিয়ে কোনো রকম অপেক্ষা ছাড়াই পার হচ্ছে। যানবাহন সহজেই টোল পরিশোধ করে সেতুতে উঠে গন্তব্য রওনা যাচ্ছে। 

পিকআপে করে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া আরিফ হোসেন বলেন, ফেরি বন্ধ। সেতুতেও নিষেধাজ্ঞা। আমাদেরকে তো যেতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে পিকআপে তুলে মোটরসাইকেল নিয়ে সেতু পার হচ্ছি।  

কাজল হোসেন নামে আরেকজন বলেন, রোববার সরাসরি সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলল। সোমবার সকালে পিকআপে করে মোটরসাইকেল পার করা হলেও দুপুরের পর থেকে সেভাবেও পার হতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই মাওয়া প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেল প্রতি এক হাজার টাকায় পিকআপ ভাড়া করা হয়েছে। সেই পিকআপে জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত যেতে আমার মতো আটজনের মোটরসাইকেল তোলা হয়েছে। আমাদের মোটরসাইকেল চালকসহ ত্রিপল দিয়ে ঢাকা হয়েছে। যাতে মোটরসাইকেল চালক এবং মোটরসাইকেল বাহির থেকে কোনোভাবেই না দেখা যায়।

সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ রয়েছে। পিকআপে খোলাভাবে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে মাল হিসেবে মোটরসাইকেল পারাপার করা যাবে। যাত্রীসহ মোটরসাইকেল পারাপারে ওপর থেকে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা আছে। 

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৬ জুন) সকালে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়। রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হন। পরদিন সকাল থেকে সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মোটরসাইকেল আরোহী যারা ঢাকায় গিয়েছিলেন অথবা কাজের তাগিদে ঢাকায় থাকেন, তারা মাওয়া টোল প্লাজা প্রান্তে এসে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

ব.ম শামীম/আরএআর