দিনাজপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে দাম বাড়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

জানা গেছে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় জেলা পাইকারি ও খুচরা বাজারে শুধু দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা এবং পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে একই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা ও পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা করে।

দিনাজপুর বাহাদুর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নাইম ইসলাম নামে এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। এর আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে এক কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। সেটা আজ কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে।

বাহাদুর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মাজেদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। আমাদের পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে নাটোর ও পাবনার মোকাম থেকে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মোকামেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাবনার পেঁয়াজ মোকামেই প্রতি মণ কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে। এজন্য পরিবহন খরচ ও সামান্য লাভ রেখে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

দিনাজপুরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে বাজার বৃদ্ধি থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন। দিনাজপুরে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় পাবনা ও নাটোরের ওপর নির্ভর করতে হয় ব্যবসায়ীদের। তাই সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে এই জেলাতে।

প্রসঙ্গত, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয় ৩০ এপ্রিল।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি