নীলফামারীতে আবারও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে গেছে। বুধবার (২৯ জুন) দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপরে।

এর আগে সকাল ৯টায় নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি ছুঁইছুঁই করেছিল। তখন পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।

এক সপ্তাহ ধরে আগে আসা পানি কমতে থাকলেও বুধবার দুপুর থেকে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১২টা থেকে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে রাখা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে পানি কমার সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন : ফের বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

তিনি আরও বলেন, এভাবে পানি বাড়লে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বড় ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সজাগ রয়েছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ২১ জুন সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। তার আগের দিন ২০ জুন সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এতে তিস্তা নদীর পানি উপচে নদীবেষ্টিত ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

২২ জুন থেকে দফায় দফায় পানি কমতে শুরু করলে এসব গ্রামের সব বাড়িঘর থেকে পানি নেমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শরিফুল ইসলাম/এনএ