কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) ভোর রাতে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহত গৃহবধূর মামা বলেন, কয়েক মাস আগে আমার ভাগনির সঙ্গে শাহপুর গ্রামের লালচানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই লালচান স্ত্রীকে পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক কার্যকলাপ করতে চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি অন্য আসামিদেরকে স্ত্রীর পেছনে লেলিয়ে দেন স্বামী লালচান। এমন ঘটনায় কিছু দিন আগে এলাকায় সালিস দরবারও হয়। সেই সালিশে মামলার এক নং আসামি রনি আমাকে ও আমার ভাগনিকে উচিৎ শিক্ষা দেবে বলে হুমকি দেয়। এরই জেরে গত সোমবার (২৭ জুন) আমার বাড়ি থেকে ভাগনি স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।

রাত ৮টার দিকে শাহপুর মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা তার মুখে গামছা বেঁধে তাকে রাস্তার পাশের পতিত জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে সকালে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে নিকলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বলেন, এ ঘটনায় বুধবার ভোররাতে গৃহবধূর স্বামীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসকে রাসেল/আরএআর