বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে শিশুরা রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। নিরাপদ পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ-ই দরিদ্র। যেভাবেই হোক সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি তাদের। 

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রামপাল উপজেলা চত্বরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নচূড়া আয়োজিত রামপালে সুপেয় পানির সমস্যা ও সমাধান বিষয়ক গণশুনানি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় কৃষ্ণা রাণি দে বলেন, পানির জন্য আমরা খুব কষ্টে আছি। এখানে গভীর নলকূপ নেই, পুকুরের পানির ফিল্টার (পিএসএফ) অকেজো, বৃষ্টিও হয় না তেমন। আমরা গরিব মানুষ বলে পানি কিনেও খেতে পারি না, ফলে পানির জন্য আমাদের খুব কষ্ট করতে হয়। তাই সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানাই, তারা যেন এখানে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করেন।

স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাঁধন ও গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় রামপাল উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এই গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, রামপালের উপ সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন, রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার এফোরটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ইন্সপিরেটর ওবায়েদুল্লাহ আল ইমন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রমুখ।

এ সময় সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন বলেন, উপকূলীয় রামপালে সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এই সংকট যথাসম্ভব কমিয়ে আনার। পানি সংকট নিরসনে সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সরকারি এসব প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা। 

তানজীম আহমেদ/আরআই