বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পেয়েছেন ১০ গুণীজন। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে রংপুরে নবনির্মিত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

সংস্কৃতির বিকাশে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০২০ পেয়েছেন সৃজনশীল সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, নাট্যকলায় নাট্য ব্যক্তিত্ব বিপ্লব প্রসাদ, আবৃত্তিতে বাচিক শিল্পী ও প্রশিক্ষক রেজিনা সাফরিন, কণ্ঠসংগীতে জিয়াউল হক লিপু, যন্ত্রসংগীতে সুবীরেশ দাশ গুপ্ত।

এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা- ২০২১ পেয়েছেন লোকসংস্কৃতিতে ভাওয়াইয়া সংগঠক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান, চারুকলায় জিয়াউল কবির, কণ্ঠসংগীতে কণ্ঠশিল্পী রওশন আরা সোহেলী, নাট্যকলায় শীলা মনসুর ও যন্ত্রসংগীতে সোলায়মান।

অনুষ্ঠানে গুণীজনদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো ছাড়াও ১০ জনকে মেডেল ও সম্মাননা চেক প্রদান করেন অতিথিরা। পরে সম্মাননা প্রদান শেষে গুণীজনরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা প্রশাসক ও রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি আসিব আহসান। এ সময় তিনি বলেন, আমরা করোনার মধ্যে পিছিয়ে পড়লেও এবার তাদের সম্মাননা দিতে পেরেছি। গুণীজনদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। 

এটি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে পথ দেখাবে। আমি রংপুর জেলায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে গর্বিত। রংপুরের সাংস্কৃতিক আমেজ আছে। এখানকার মানুষ সাহিত্য-সংস্কৃতানুরাগী। দেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এখানকার মানুষের বিশেষ অবদান আছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার রংপুরের চেয়ারম্যান রোজি রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি ফিরুজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু।

প্রসঙ্গত, শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জেলা পর্যায়ে ৫ জন গুণী মানুষকে সম্মাননা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ২০২০ ও ২০২১ সালের মোট ১০ জনকে সম্মাননা প্রদান করে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই