পবিত্র ঈদুল আজহার এখনো ১০ দিন বাকি। তবে এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যেই পশু বেচাকেনা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারে।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটে বাড়তে থাকে পশুর সরবরাহও। হাটে দেশি, শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু-মহিষের পাশাপাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। তবে সুহিলপুরের এ হাটে ভারতীয় কোনো গরু দেখা যায়নি।

ক্রেতারা বলছেন, বিগত সময়ের তুলনায় এবার গরু-মহিষের দাম কিছুটা বেশি। 

তবে বিক্রেতাদের দাবি, গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। ফলে হাটে যে দাম উঠছে পশুর, তাতে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে। 

হাটে গরু কিনতে আসা মো. বাবুল মিয়া জানান, হাটে গরু-মহিষের সরবরাহ ভালো। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। প্রত্যেক গরুতেই অন্তত ৫-৬ হাজার টাকা বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।

আরেক ক্রেতা হানিফ মিয়াও একই কথা জানিয়ে বলেন, দেশি গরুর দাম বেশি। বিশেষ করে ছোট গরুর দাম বেশি।

জেলার বিজয়নগরের বুধন্তি ইউনিয়নের শশই থেকে হাটে পশু নিয়ে আসা আব্দুল হাই জানান, ঈদের প্রথম পশুর বাজার আজকে। বাজারে ক্রেতাদের সমাগম ভালোই। তিনি দুইটি গরু এনেছেন বিক্রির জন্য। গরু দুইটির যে দাম উঠেছে হাটে- তাতে লাভ হচ্ছে না। পরবর্তী হাটে কিছুটা লাভ হলে গরুগুলো বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

আরেক বিক্রেতা মানিক মিয়া জানান, তার গোয়ালের একমাত্র ষাঁড়টি এনেছেন বিক্রির জন্য। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম চাইছেন গরুটির। কিন্তু ক্রেতারা আরও কম দাম বলছেন। এবার গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালনে খরচ বেশি হয়েছে। তবে এবার লোকসান হলেও গরু বিক্রি করতে হবে- কারণ খরচ দিয়ে আর গরু গোয়ালে রাখা সম্ভব না। 

জেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারের কিছু বেশি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে পশুর হাট বসবে ৮০টির মতো। এ সব হাটে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে পশু বেচাকেনা। হাটগুলোতে এবার অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর