যশোর শহরতলির বিল হরিনার রামনগর ইউনিয়নের অংশে প্রস্তাবিত বিসিক-২-এর জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়ার প্রতিবাদে এককাট্টা হয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তিন ফসল বোরো, আউশ, আমনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে তারা সড়কে মানববন্ধন করেন।

শুক্রবার (১ জুলাই) মণিরামপুরে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের হাতিপুতা কনাইতলা নামক স্থানে কাজিপুর, কাজিপুর, রামনগর, ভাটপাড়া, তোলা গোলদারপাড়া গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধনে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনো ফসলি জমিতে শিল্প স্থাপন নয়। আর সেটি করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। সেখানে বিল হরিনার রামনগর অংশের তিন ফসলি জমি বিসিক-২ স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রস্তাবিত ১ হাজার ৬০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ ভূমিহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়বে।

তারা জানান, এই বিলের তিন শতাধিক বর্গচাষি রয়েছেন। তারা একই জমিতে বোরো, আউশ, আমন আবাদ করেন। শিল্প স্থাপন করলে তাদের জীবন-জীবিকা থমকে যাবে। অধিগ্রহণের বাইরে থাকা আবাদি জমিসহ চারপাশের গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বিল হরিনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলে সম্প্রদায় কর্মহীন হয়ে পড়বে।

শিল্পনগরী গড়ে উঠলে হরিনা বিলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মুক্তেশ্বরী নদীর পানি দূষণ ও বায়ুদূষণ ঘটবে জানিয়ে তারা বলেন, শহরের বড় একটি অংশের পানি বিল হরিনায় নিষ্কাশিত হয়। শিল্পনগরী গড়ে উঠলে তা বাধাগ্রস্ত হয়ে প্রকট আকারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে হাজার হাজার মানুষ জলাবদ্ধতাসহ নানা সংকটে পড়বে।

এ অবস্থায় বক্তারা এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কায়েস, অধ্যাপক মুসাহাত আলী, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ, তোরাপ আলী, আসাদুজ্জামান, শফিয়ার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল জলিল মোড়ল প্রমুখ।

এনএ