ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে পদ্মা সেতুতে ছোট গাড়ি ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মানুষ পদ্মা সেতুতে আসছে। সুযোগ পেলেই গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন অনেকে।

যদিও পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা নিষেধ, তারপরও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকেই ছবি তুলছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছুটির দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষ ছোট গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছে। পদ্মা সেতুতে উঠে সুযোগ বুঝে নেমে পড়ছেন অনেকে। নেমেই সেতুকে সামনে-পেছনে রেখে ছবি তোলায় ব্যস্ত হন। এ সময় আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।

তবে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলরত অবস্থায় দর্শনার্থীদের থামতে বা নামতে দেখলেই সেতু থেকে গাড়িতে উঠিয়ে দিচ্ছেন এবং বারবার মাইকিং করে সেতুতে নামতে নিষেধ করছেন। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মানুষ পদ্মা সেতুর সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলছে।

নড়াইলগামী যাত্রী মাহমুদা আক্তার বলেন, সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই সেতুটিতে ওঠা ও দেখার জন্য খুব ইচ্ছা করছিল। কিন্তু কাজে ঢাকায় ব্যস্ত থাকায় আসতে পারিনি আজ ছুটির দিন তাই চলে এসেছি।

যশোরগামী যাত্রী রুবেল আহমেদ বলেন, আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করি। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে যেদিন, সেদিন আমার অফিস খোলা ছিল। আসতে পারিনি। আজ ছুটির দিন অবশেষে সুযোগ পেলাম। স্বপ্নের পদ্মা সেতুটি দুচোখ ভরে দেখছি আর বাড়ি যাচ্ছি।

মাদারীপুরগামী যাত্রী সৌরভ হোসেন বলেন, গতবার যখন বাড়ি থেকে ঢাকায় যাই, ফেরিতে দাঁড়িয়ে সেতুটি দেখেছি আর ভাবছি, কবে যাব এই সেতু দিয়ে। কিন্তু আজ সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি, কী যে আনন্দ লাগছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। এখেন ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়াতে হবে না। ভাবতেই আনন্দে বুকটা ভরে উঠছে।

এ ব্যাপারে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মানুষকে বুঝিয়ে চেষ্টা করতেছি তারা যেন পদ্মা সেতুতে না দাঁড়ায়। জরিমানা করলে তো সহজেই করা যায়, কিন্তু এই সেতু নিয়ে মানুষের আবেগ অনেক বেশি।  অনেক সময় মানুষকে অনেক কিছু করতে নিষেধ করলে তারা কেঁদেও দেয়।

ব.ম শামীম/এনএ