কুমিল্লায় চেয়ারম্যানের সামনেই মরিয়ম (৩৫) নামে এক নারীকে সালিসে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় জেলার মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম নবীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ত্রিশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম ওই গ্রামের মৃত খুরশিদ আলমের মেয়ে। ঘটনার পর আহত মরিয়মকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

মরিয়মের ছেলে মো. রাসেল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা পোস্টকে জানান, আমার নানী ১৯৯৬ সালে জায়গা সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। সেই জায়গায় ইউপি সদস্য দেলোয়ার জোর করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আমার মা কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার আনলে কাজ বন্ধ করা হয়। সেই জায়গার বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় দেলু মিয়ার দোকানে সালিস বসানো হয়। সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সামনেই আমার মাকে মারধর করা হয়। মা এখন চিকিৎসাধীন আছেন। আমার মা সুস্থ হলে আমরা মামলা করব।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে ঘটনার বিষয়ে বলেন, মরিয়মের ছেলে মাদকব্যবসায়ী। তিনি চেয়ারম্যান-মেম্বারের নাম বিক্রি করে মাদক ব্যবসা করেন। আমরা সেটার প্রতিবাদ করায় মরিয়ম আমার ভাইয়ের ওপর চড়াও হন। পরে আমার ভাই উত্তেজিত হয়ে তার গায়ে হাত দেন।

পশ্চিম নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে সালিসের কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়েছে ঘটনার পর। মারধরের সময় আমি ছিলাম না। আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ আমি ফেসবুকে দেখেছি। যা ঘটেছে তা খুব দুঃখজনক। সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে আমি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার হয়, নিব।

আরআই