পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে এখন শিক্ষককে পিটিয়ে মারছে ছাত্র। এক শিক্ষক অপর শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের লেলিয়ে দেন। সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট এ ধরনের জঘন্য অপরাধ মোকাবিলা করতে হবে। সবাইকে হাতে হাত রেখে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করতে হবে।

শুক্রবার  (১ জুলাই) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আইজিপি আরও বলেন, দেশ ও সমাজ যত এগিয়ে যাবে, পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যশা তত বাড়বে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে পুলিশকে প্রস্তুত হতে হবে। পুলিশ দেশের জনগণের প্রথম ভরসাস্থল হতে চায়। সে লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানাই। 

তিনি বলেন, বর্তমানে চিরায়ত অপরাধ যেমন- চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি কমছে। আবার অর্থনৈতিক অপরাধ, সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে এসব অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিশাল ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, আমরা এ দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের উন্মেষ ঘটানোর অপপ্রয়াস দেখেছি। বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ। এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টাকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। 

এ সময় নগরবাসীর নিরাপত্তায় আরএমপির অনন্য ভূমিকার প্রশংসা করেন আইজিপি। একই সঙ্গে ইনোভেটিভ পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের নিরাপত্তায় আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরএমপির কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজি) আবু হাসান মোহম্মদ তারিক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে আরএমপির কার্যক্রমের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রর্দশন করা হয়। এ উপলক্ষে ‘অগ্রযাত্রায় আরএমপি’ শীর্ষক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এর আগে সকালে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে আরএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। পরে এ নিয়ে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নেন তিনি।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর